14 February 2012

নির্বাচিত হাসির জোকস


এক গরু বিক্রেতা কোরবাণীর পশুর হাট থেকে গরু নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে ডাকাতে ধরেলো-
ডাকাতঃ-এই শালা, কী কী আছে দে!
গরু বিক্রেতাঃ ভাই, আমার কাছে কিছু নাই !
ডাকাতঃ কিছু নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটা বিক্রি করতে পারিনাই ।
ডাকাতঃ গরুটা বিক্রি করতে পার নাই কেন ?
গরু বিক্রেতাঃ ভাই,গরুটার দাম কম বলেছে, তাই বিক্রি করিনাই ।
ডাকাতঃ এই শালা,গরুটার দাম কম হলে আমরা টাকা কম পেতাম, তুই গরুটা বিক্রি করলিনা কেন?



.................

এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে-
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও।
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।

.................

১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল!
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল!
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার �পা� ছিল!

.................

পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি......

যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !!

পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি--চিনি, প্রথম - প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !


.................

ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে।
চুরির মামলা।
বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো?
‌--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো।

‌‌-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো?

থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু
করে ধরলো।
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ।
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন।

.................

অতিথী

সেই যে বাড়ীতে এক অথিতি এসেছে। এক সপ্তাহ যায় দু সপ্তাহ যায় তবু নড়বার কোন লক্ষণ নেই। স্বামী-স্ত্রী কেউ কিছু বলতে পারে না লজ্জায় । একদিন পাশের ঘরে অথিতিকে শুনিয়ে দুজন খুব ঝগড়া করতে লাগলো, মিছামিছি। স্ত্রীকে স্বামীর প্রহার এবং স্ত্রীর কান্নায় আওয়াজও শোনা গেল এক পর্যায়ে। গতিক সুবিধের নয় ভেবে অথিতি ভদ্রলোক তার সুটকেস নিয়ে এক ফাকে বেরিয়ে গেল। জানালা দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনায় তা দেখে ঝগড়া বন্ধ করে খুব এক চোট হেসে নিল- যে বুদ্ধি করে তারা অথিতি তাড়াতে পেরেছে। স্বামী বললো তোমার লাগে টাগে নিতো? যে জোরে কাঁদছিলে। স্ত্রী বললো দূর একটুও লাগেনি। এ তো লোক দেখানো কেঁদেছিলাম । হাসিমুখে এক সময় অথিতির আর্বিভাব, হেঁ, হেঁ আমিও কিন্তু লোক দেখানো গিয়েছিলাম ।

.................


গৃহস্বামী: এই যে চা খেলেন, এটা একেবারে দার্জিলিং স্পেশাল।
অতিথি: বোধহয় এইজন্যই এত ঠান্ডা।

.................

অনেক দিন পর বাড়িতে একজন মেহমান এসেছে। মেহমান দেখে বাড়ির মালিক বললেন, তা কেমন আছেন, অনেক দিন পর এলেন, আজ তো আর থাকবেন না, আবার কবে আসবেন?
মেহমান : অনেক দিন পর এলাম, যেতে তো আর দিবেন না, লুঙিটা দিন গোসলটা সেরেই আসি।


.................

অফিস-বস-কলিগ



কর্তা : যা তো ক্যাবলা, একটি খালি ট্যাক্সি নিয়ে আয় |
কিছুক্ষণ পর ক্যাবলা এসে বলল, স্যার,একটাও খালি ট্যাক্সি পেলাম না , ড্রাইভারের সিটে কেউ না কেউ বসে আছে |


.................


একটা কোম্পানী তাদের কারখানা অগ্নি- বীমা করাবে ঠিক করলন । পরদিন কোম্পানীর ম্যানেজারের ঘরে বারবার বীমা দালালরা দেখা করবার জন্য আসতে লাগল । কোম্পানী ম্যানেজারে ব্যস্ত ছিল্রন তিনি আটজন দালালকে বললেন আমার সময় নেই পরে দেখা হবে । পরে ম্যানেজার বললেন উ আপনাকে নিয়ে এই নয়জন এর আগে আটজনকে না দেখে বিদায় দিয়েছে

দালাল এক গাল হেসে বললেন । আমি এই নিয়ে নবম বার এসেছি।


.................


এক পুলিস অফিসার প্রমোসন পেয়ে ট্রেনিং এ গেছেন এবং সেখানে তাকে ট্রেনার SWOT এ্যানাল্যাইসিস সেখাচ্ছেন। SWOT হল ব্যবসার ক্ষেত্রে শক্তি(Strength, দূর্বলত(Weakness), সূযোগ(Opportunity) ও ভয়(Threat)-এর বিবেচনা। আলোচনার পর ট্রেনার ঐ অফিসার কে ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা থেকে SHOT এর একটা উদাহরণ দিতে বললেন।
উত্তর টা ছিল এমন:-

আমার শক্তি হল আমার বৌ;
আমার দূর্বলতা হল পাশের বাড়ির বৌ;
আমার সূযোগ হল তার বর যখন বাইরে কোথাও যায়;
আমার ভয় আমি যখন বৌ কে রেখে বাইরে কোথও যাই;


.................


মক্কেল গোয়েন্দা বিভাগে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে।
প্রশ্নকর্তাঃ কেন চোর সব সময় চুরি স্থলে ফিঙ্গার প্রিন্ট রেখে যায়...
মক্কেলঃ ওরা বেশির ভাগ সময় অশিক্ষিত হয় তাই আঙ্গুলের ছাপ রেখে যায়...শিক্ষিত হলে অবশ্যি সাইন করে যেত।


.................


আস্তে হাঁটা

এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু�ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে!
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন?
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল!
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন?
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!



.................

ভাবীর হাতের রান্না

বাবুর অফিসের কাজে মন বসে না। তার গা ম্যাজম্যাজ করে, মেজাজটাও খারাপ হয়ে থাকে।

বস একদিন ডাকলেন তাকে।

শোনো, এভাবে তো চলবে না। তোমাকে চাঙা হতে হবে। আমারও এরকম হতো আগে। তখন কী করতাম জানো? লাঞ্চ আওয়ারে বাড়ি চলে যেতাম। তোমার ভাবীর হাতের মজার রান্না খেয়ে, ঘন্টাখানেক তাকে চুটিয়ে আদর সোহাগ করতাম � হে হে, বুঝতেই পারছো, কী বলতে চাইছি। এরপর থেকে আমি একদম চাঙা, কোন সমস্যা হয় না। তুমিও ওরকম একটা কিছু করে দেখো, ফল পাবে।

হপ্তাখানেক পর বস দেখলেন, অফিসে বাবুর কাজ চলছে দারুণ। টেলিফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার নিয়ে দক্ষযজ্ঞ কান্ড একেবারে। বস হাসলেন, কী মিয়া, পরামর্শ কাজে লাগলো?

বাবু উৎফুল্ল গলায় বললো, জ্বি স্যার, একেবারে হাতে হাতে। আর ভাবীর হাতের রান্না তো অপূর্ব!


.................


শুধু ওভার টাইম খাটবো

একটি ফ্যাক্টরির মালিক বোঝাচ্ছিলেন তার শ্রমিকদের দশটার পর থেকে পাঁচটা পর্যন্ত এই সাত ঘন্টা খাটলে পর দিন পাঁচ টাকা মজুরি । তারপর যদি কেউ ওভার টাইম করে খাটতে চাও- তাহলে মাত্র পুরো তিন ঘন্টা খাটলে পুরো পাঁচ টাকা দেওয়া হবে । তাহলে স্যার আমরা শুধু ওভার টাইম খাটবো সেটাই ভালো ।


.................


মালিক অফিসে এসেই কর্মচারীকে ধমকালেন।
�হাসান সাহেব, কাল নাকি আপনি অফিস টাইমে মিস ডলিকে নিয়ে সিনেমায় গিয়েছিলেন? ওকে আমার সঙ্গে একবার দেখা করতে বলুন।
�কিন্তু স্যার, ও কি আপনার সাথে সিনেমা দেখতে যেতে রাজি হবে?


.................


ম্যানেজারঃ তুমি নাকি আলমিরার চাবি আবারও হারিয়েছ?
কেরানিঃ জ্বী স্যার।
ম্যানেজারঃ আগে একটা হারিয়েছিলে তাই এবার তালার সঙ্গে দুটো চাবিই তোমাকে দিয়েছিলাম ।
কেরানিঃ দুটোই হারাই নি স্যার ! একটা মাত্র হারিয়েছি ।
ম্যানেজারঃ তাহলে অন্যটা কোথায় ?
কেরানিঃ হারিয়ে যাবার ভয়ে আগে থেকেই সাবধান ছিলাম। তাই ওটা আলমিররার মধ্যেই সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম ।

.................



উকিল

উকিলঃ সেকি ম্যাডাম ? আপনার স্বামী তো পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন । তাহলে চার বছরের আর একটি দুই বছরের বাচ্চা এলো কোথা থেকে ?
ভদ্রমহিলা রাগের স্বরেঃ তা আমি তো বেঁচে আছি না কি?


.................

ক্রেতা-বিক্রেতা

ক্রেতা : তাড়াতাড়ি একটা পলিথিন ব্যাগ দিন তো, এক্ষুনি আমাকে ট্রেন ধরতে হবে।
বিক্রেতা : মাফ করবেন, ট্রেন ধরার মতো এত বড় পলিথিন ব্যাগ আমার কাছে নেই।


.................

খেলাধুলা

গলফ খেলতে গেছে টিনা।

সাঁই করে ব্যাট চালালো সে। তারপর দেখতে পেলো, তার টার্গেটের কিছুটা দূরে এক লোক হঠাৎ কোমরের নিচটা চেপে ধরে শুয়ে পড়লো।

নিশ্চয়ই আমার বলটা ওর ওখানটায় গিয়ে লেগেছে! আঁতকে উঠলো সে। তারপর ছুটে গেলো সেখানে।

দেখা গেলো, লোকটা কোঁকাচ্ছে সমানে, কোমরের নিচটায় হাত চেপে রেখেছে সে।

টিনা বললো, ভয় পাবেন না, আমি জানি কী করতে হবে। খুব ব্যথা করছে?

লোকটা কোনমতে বললো, হ্যাঁ।

টিনা তখন এগিয়ে গিয়ে, বেচারার প্যান্ট খুলে, মিনিট দশেক ম্যাসেজ করে দিলো। তারপর বললো, এখন কেমন বোধ করছেন?

লোকটা বললো, দারুণ, কিন্তু বুড়ো আঙুলটায় এসে বল লেগেছে তো, সাংঘাতিক ব্যথা করছে।



.................

আমার এত ধৈর্য কোথায়

দু জন দাবা খেলছিল। পাশে দাঁড়িয়ে আরেক ভদ্রলোক পাক্কা দু ঘন্টা ধরে তাদের দাবার চাল বলে দিচ্ছিলেন আর তাদের ভুলের সমালোচনা করছিলেন।
শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে একজন খেলোয়ার বলল, তা হলে আপনিই খেলুন না।
ভদ্রলোক প্রায় আঁতকে উঠে বললেন, না, না আমার এত ধৈর্য কোথায়!



.................

আম্পায়ারগুলো সব আমাদের

একবার স্বর্গের দেবতারা আর নরকের শয়তানেরা মিলে ক্রিকেট খেলবে বলে ঠিক করল। স্বর্গের দেবতারা খেলায় জিত নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী, কারণ সব ভালো ভালো ক্রিকেটাররা স্বর্গে তাদের সঙ্গেই আছেন। কিন্তু শয়তানদের এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত দেখা গেল না। তাদের নিশ্চিন্ত ভাবভঙ্গি দেখে এক দেবতা এক শয়তানকে ডেকে বলল, কী ব্যাপার, ভালো ভালো ব্যাটসম্যান তো সব আমাদের এখানে, কিন্তু তোমাদেরকে বিশেষ চিন্তিত মনে হচ্ছে না! শয়তান সঙ্গে সঙ্গে দাঁত বের করে শয়তানি হাসি দিয়ে বলল, তোমাদের যতই ব্যাটসম্যান থাকুক, আম্পায়ারগুলো তো সব আমাদের এখানে!


.................

গোপাল ভাঁড়



গাধা আর রাজা
রাজা গোপাল ভাড় কে প্রশ্ন করল,গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু?

গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল,বেশি না ,মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান |


.................

গোপাল ভাড়েঁর পড়শীর সাথে সংগত কারনেই ভাল সম্পর্ক নেই। সবসময় বিবাদ বিসংবাদ লেগেই থাকে। তাই এদের মধ্যে যোগাযোগ একরকম বন্ধই। এরই মধ্যে একদিন দেখা গেল পাশের বাড়ীতে মহাধুমধামে ভোজের আয়োজন চলছে। শত শত অতিথি আসছে - চমৎকার খাবারের বাসনা গোপালের বাড়ীতে ঢুকছে। গোপাল ভাড়ঁ কৌতুহলী হয়ে খবর নিয়ে জানলো - ঐ বাড়ীর একটা ছেলে মারা গেছে - যারা শ্রাদ্ধানুষ্টান চলছে। গোপাল তাকে নিমন্ত্রন না করায় খুবই মনঃক্ষুন্ন হলো। ভাবতে লাগলো কিভাবে এর জবাব দেওয়া যায়।

ভাবতে ভাবতে অবশেষে নিজের ছোট ছেলেকে টেনে ছাদে নিয়ে গিয়ে পাশে বাড়ীর উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বলা শুরু করলো - "এই দেখ, আমারও ছেলে আছে, এই ছেলে মারা গেলে বিরাট শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হবে। তখন তোমাদের দাওয়া দেবো না, বলে রাখলাম কিন্তু"।


.................

রাজা কৃষ্ণচন্দ্র সব সভাসদদের সামনে গোপালকে জব্দ করার উদ্দেশ্যে বলছেন, �বুঝলে গোপাল, আমার সাথে তোমার চেহারার কিন্তু দারুণ মিল! তা বাবার শাসনামলে তোমার মা কি এদিকে আসতেন-টাসতেন নাকি?�
গদগদ হয়ে গোপাল বলে, �আজ্ঞে না রাজামশাই! তবে মা না এলেও বাবা কিন্তু প্রায়ই আসতেন!�


.................

গোপালের তামাকপ্রীতি রাজা কৃষ্ণচন্দ্র মোটেই পছন্দ করতেন না।একদিন গোপালকে সঙ্গে নিয়ে পালকিতে কোথাও যাচ্ছেন, দেখেন তামাক ক্ষেতে এক গাধা চড়ে বেড়াচ্ছে।সেই গাধা ক্ষেতের আগাছা খাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তামাক পাতায় ভুলেও মুখ দিচ্ছে না।
সুযোগ পেয়ে রাজা বলেন, �দেখেছো হে গোপাল, একটা গাধাও তামাক খায় না!�
শুনে গোপাল বলে, �আজ্ঞে রাজা মশাই, তা যা বলেছেন।কেবল গাধারাই তামাক খায় না।�




গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।




একজন বৈরাগী গোপালকে চিনত না।সে গোপালের সামনে এসে বলল, �ঈশ্বরের সেবার জন্য আপনি কিছু চাঁদা দেবেন?�
গোপাল কিছু না বলে বৈরাগীকে একটা টাকা দিল।
টাকাটা পেয়ে বৈরাগী খুশি হয়ে পথ হাঁটতে লাগল।কিছুটা যেতেই গোপাল তাকে ডাকল, �ও বৈরাগী, একবারটি আমার কাছে এসো।�
বৈরাগী খুশিমনে তার কাছে আসলে গোপাল বলল, �তোমার বয়স কত?�
� আজ্ঞে আঠারো ।�
�আমার বয়স পঞ্চান্ন।�
�তাতে কি হল?�
�এইমাত্র ঈশ্বরের সেবার জন্য যে একটা টাকা নিয়েছ সেটা ফেরত দাও, কারণ তোমার আগেই আমি স্বর্গে যাব এবং ঈশ্বরের সেবারর্ সুযোগ পাব।�




এক পন্ডিতের মাথায় তিলকের ঘটা দেখে গোপাল খুব আমোদ পেয়ে জিজ্ঞেস করেছে, �ওহে পন্ডিত, কপালে এতো সব কি এঁকেছো?�
পন্ডিত একগাল হেসে বলে, �আজ্ঞে, ফোঁটা কাটুচি!�
গোপাল উদাত্ত গলায় ফের শুধায়, �ফোঁটা কাটুচি, না কাগে হাগুচি?�




রাজা গোপাল ভাঁড় কে প্রশ্ন করল, গাধা আর তোমার মধ্যে ব্যবধান কতটুকু? গোপাল রাজা থেকে নিজের দুরত্ব টা মেপে তারপর জবাব দিল, বেশি না, মাত্র সাড়ে চার হাত ব্যবধান।




গোপালের সাথে এক ভদ্রলোকের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন রামবাবু, �বুঝলে গোপাল, ইনি হলেন শ্রী বিদ্যাচরণ মিশ্র।তোমার মতো অকাট মূর্খ নন, রীতিমত যাকে বলে বিদ্যের জাহাজ!�
�তা জাহাজই যখন ডাঙায় কেনো? সাগরের জলে ভাসিয়ে দিন না!� গোপালের সরল উত্তর।




গোপালকে বলছেন রামবাবু, �এখানে বাঁদরের বড্ড উৎপাত।তোমাকে তো দেখতে বেশ বাঁদরের মতোই! ওদের দলে তোমাকে ছেড়ে দিলে কি হবে বলতো? তুমি নিশ্চই কখনো বাঁদর দেখনি?�
�আজ্ঞে না! আপনার মত বাঁদর আমি আগে আর কক্ষনো দেখিনি!� গোপালের সোজা-সাপ্টা উত্তর।




গোপাল ভাঁড় হাসতে হাসতে মইরা গেল...



Jokes: চাকর-মনিব

মিস্টার এবং মিসেস চৌধুরী পার্টিতে গেলেন, বাসা সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেলেন কাজের ছেলে পাভেলকে।পার্টিতে ঘন্টাখানেক কাটিয়ে বিরক্ত হয়ে মিসেস চৌধুরী ফিরে এলেন, মিস্টার চৌধুরী রয়ে গেলেন সামাজিকতার খাতিরে।

বাসায় ফিরে এসে মিসেস চৌধুরী পাভেলকে খুঁজে পেলেন ডাইনিং রুমে।তিনি খানিকক্ষণ উসখুস করে পাভেলকে ডেকে নিয়ে গেলেন নিজের বেডরুমে।

"পাভেল, আমার শাড়িটা খোল।" হুকুম করলেন তিনি।

পাভেল কোন কথা না বলে হুকুম তামিল করলো।

"এবার আমার ব্লাউজ খোল।" বললেন মিসেস চৌধুরী।

পাভেল সেটাও পালন করলো।

এবার মিসেস চৌধুরী নিচু গলায় বললেন, "আমার পেটিকোটটা খোল পাভেল ।"

পাভেল খুললো।

মিসেস চৌধুরী পাভেলের চোখে চোখ রেখে বললেন, "আর কোনদিন যদি দেখি আমার জামাকাপড় গায়ে দিয়ে বসে আছিস, কানে ধরে বাসা থেকে বের করে দেবো!"




…………………………


Jokes: চাপাবাজ

গরম চা

১ম চাপাবাজঃ আমি এত গরম চা খাই যে, কেতলি থেকে সোজা মুখে ঢেলে দেই!
২য় চাপাবাজঃ কি বলিস! আমি তো চা-পাতা, পানি, দুধ, চিনি মুখে দিয়ে চুলোয় বসে পড়ি!




একবার এক অনুষ্ঠানে এক বাংলাদেশি, সাউথ আফ্রিকান আর ইন্ডিয়ান গল্প করছে। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট।

ইন্ডিয়ান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল, স্টাইকার এন্ডে ছিল শচীন। বোলার বল করল, শচীন সেটা থার্ডম্যানের দিকে ঠেলে দিয়ে ৩ রান নিল, ফিল্ডার সেটা ছুড়ল নন-স্টাইকার এন্ডে। ওভার থ্রো তে শচিন আরও তিন রান নিয়ে নিল। এবার ফল্ডার সাবধান হয়ে সেটা ছুঁড়ে দিল উইকেট কিপারের দিকে, উইকেট কিপার ধরতে পারল না আর বলটা চলে গেল বাউন্ডারির ওপারে ফলে চার রান। ৩+৩+৪ =১০ আমরা জিতে গেলাম।

সাউথ আফ্রিকান: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমদের গ্রায়েম স্মিথকে তো তোমরা চেন। তার গায়ে মারাত্মক জোর। সে এমন জোরে মারল জে বল স্টেডিয়াম পার হয়ে কয়েক শ গজ দূরে গিয়ে পড়ল। আম্পায়ারের কোন উপায় ছিল না। সে ১২ রান দিয়ে দিল। আমরা জিতে গেলাম।

বাংলাদেশি: একবার আমাদের ১ বলে ১০ রান দরকার ছিল। আমাদের আশরাফুলকে তো তোমরা চেন, সে সেইরকম মারকুটে ব্যাটসম্যান। বোলার বল করল আর আশরাফুল সজোরে ব্যাট চালাল। ব্যাটের আঘাতে বল ভেঙে দুইটুকরা হয়ে গেল। এক টুকরা উড়ে বাউন্ডারি পার হল আর অন্যটুকরা গড়াতে গড়াতে বাউন্ডারি পার হল। ফলে আমরা ৬ + ৪ = ১০ রান করে ফেললাম। আমরা জিতে গেলাম।




দুই চাপাবাজের মধ্যে আলাপ হচ্ছে-
প্রথম চাপাবাজ: জানিস মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারটা কিনে ফেলি।
দ্বিতীয়চাপাবাজ: অত সহজ না বন্ধু! ওটা আমি বেচলেতো।




এক ফরাসী, এক ইতালীয় আর এক বাঙালি ট্রেনে বসে নিজেদের বিবাহিত জীবন নিয়ে গল্প করছে।
ফরাসী বলছে, �গত রাতে আমার বউকে চারবার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।�
ইতালীয় বলছে, �গত রাতে আমার বউকে ছয়বার আদরসোহাগ করেছি। সকালে সে আমাকে চমৎকার নাস্তা বানিয়ে খাইয়েছে, আর বলেছে, আমার মতো পুরুষ সে আগে কখনো দেখেনি।�
বাঙালি চুপ করে আছে দেখে ফরাসী তাকে প্রশ্ন করলো, �তা তুমি গত রাতে তোমার বউকে ক�বার আদরসোহাগ করেছো?
বাঙালি বললো, �একবার।�
ইতালীয় মুচকি হেসে বললো, �তোমার বউ সকালে তোমাকে কী বললো?�
�ওগো, থামো, আর না �।�

No comments: